২০১৪ সালে যখন সেবা প্রকাশনী থেকে ফোন করে বলা হলো, 'আমরা আপনার রহস্য পত্রিকার গল্পগুলো নিয়ে একটা বই বের করতে চাই।' খুলনার এই তরুণের কাছে সেটা অনেক বড় প্রাপ্তি ছিল। যার ধ্যান জ্ঞান ছিল লেখালিখি, ফোনকলটা তো তার জন্য টনিকের মতোই কাজ করার কথা। অতঃপর সেবা থেকে প্রকাশিত হলো তার প্রথম বই 'কেবিন নাম্বার ৩০৫'। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনার পাঠ চুকিয়ে ঢাকায় আসার পর পেলেন আরও একটি ফোনকল। জানাল হলো, তিনি ২০১৫ সালের ক্লোজআপ কাছে আসার গল্পে (চিনিগুড়া প্রেম) বিজয়ী হয়েছেন। বিশ্বাসই হচ্ছিল না এত বড় সংবাদটা। রাতারাতি হয়ে গেলেন সেলিব্রেটি লেখক।
দ্বিতীয় বই 'বোকারাই প্রেমে পড়ে', তৃতীয় বই 'একজন
সাইকো' যখন বইমেলায় অন্যতম বেস্টসেলার হলো তরুণ
লেখক বুঝতে পারলেন তিনি ঠিক পথেই আছেন। ভালো
লেখার ধারাবাহিকতায় সেবা থেকে একে একে প্রকাশিত হলো
'সাধনা', 'দুঃস্বপ্নের কাল'। এছাড়া 'লিসার অসুখ', 'চোখ চুরি', 'জনক'ও পাঠকমহলে ফেলল ব্যাপক আলোড়ন। অ্যাডভারটাইজিংকে ক্যারিয়ার হিসাবে বেছে নিলেন তিনি। কারণ এখানে গল্প ভাবার ও গল্প লেখার সুযোগটা আছে। আট বছর পার করে ফেললেন স্বনামধন্য দুটি বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানে। এই সেক্টরেও পেয়েছেন সাফল্যের দেখা, একের পর এক পুরস্কার যুক্ত হয়েছে ঝুলিতে।
২০০২ সালে প্রথম আলোর আলপিনে গল্প লেখার মাধ্যমে তার পত্রিকার জগতে পদার্পণ। এরপর গত ২১ বছরে বিভিন্ন প্রথম সারির পত্রিকায় হাজারের বেশি লেখা প্রকাশিত হয়েছে। ঈদের নাটক 'বোকারাই প্রেমে পড়ে', 'অহংকার', 'অচেনা অতিথি', 'হাত বাড়ালেই ভালোবাসা' সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় নাটকও লিখেছেন ইতোমধ্যে। অপেক্ষায় আছেন ওটিটির জগতে পদার্পণের। এর বাইরে তিনি উন্মাদের সহকারী সম্পাদক হিসাবে যুক্ত আছেন। এতক্ষণ যার কথা বলছিলাম, তিনি সবার প্রিয় লেখক রিয়াজুল আলম শাওন।
www.facebook.com/reazulalam.shawon
-লেখাটি তৈরি করেছে শাওনের বন্ধুরা